শক্তি হেপটা জিংক
জিংক উদ্ভিদের অত্যাবশ্যাকীয় খাদ্যোপাদানের মধ্যে অন্যতম। যে সকল জমি সারা বছর ভেজা থাকে সে সকল জমির মাটিতে জিংক এর অভাব দেখা যায়। জিংক -এর অভাবে ৩৫% পর্যন্ত ফলন কম হতে পারে। মান সম্পন্ন ফসল এবং আশানুরুপ ফলনের জন্য “ইস্পাহানি শক্তি” হেপ্টাজিংক ব্যবহার করুন।
অভাবজনিত লক্ষণ ঃ
- ফসলের কচি পাতার মধ্য শিরা বিশেষ করে গোড়ার দিকে সাদা হয়ে যায়।
- পুরাতন পাতার মরিচা পড়ার মতো ছোট ছোট দাগ দেখা যায় এবং পড়ে বাদামী রং ধারণ করে।
- পাতার আকার ছোট হয়, কোন কোন পাতার কিনারা কুঁচকে যায়।
- ফসলের বৃদ্ধি কম হয় এবং ফসল দেরীতে পরিপক্ক হয়।
- ধানের কুশি কম হয় এবং ফলন হ্রাস পায়।
ইস্পাহানি শক্তি হেপ্টাজিংক -এর উপকারীতা ঃ
- দানা জাতীয় ফসলের দানা পুষ্ট করে।
- উদ্ভিদের পাতা সবুজ ও সতেজ করে। ফসলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- ধানের কুশির সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
- ফুল, ফল ও বীজের আকৃতি গঠনে সহায়তা করে।
- ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- সর্বোপরি ফসলের উৎপাদনবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
প্রয়োগ ক্ষেত্র ঃ ধান, গম, ভূট্টা আলু সহ সকল প্রকার তৈল জাতীয় ফসল; ডাল জাতীয় ফসল; শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি; সকল প্রকার ফুল ও ফলের দস্তা ও সালফারের অভাব পূরণ করে সর্বোচ্চ ফলনে “ইস্পাহানি শক্তি” হেপ্টাজিংক ব্যবহার করুন।
প্রয়োগ মাত্রা ঃ একর প্রতি ৩-৫ কেজি “ইস্পাহানির শক্তি” হেপ্টাজিংক প্রয়োগ করতে হবে। তবে জমিতে দস্তা ও সালফারের অভাবে তারতম্য ভেদে প্রয়োগমাত্রা কম-বেশি হতে পারে।
প্রয়োগ পদ্ধতি ঃ জমি তৈরির শেষ চাষে ছিটিয়ে প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে অথবা ফসল লাগানোর ২-৩ সপ্তাহ পর প্রয়োগ করতে হবে।
সাবধানতা ঃ
- শিশু, পশু-পাখি ও খাদ্য সামগ্রীর নাগালের বাইরে রাখুন।
- টিএসপি, এস এসপি ও ডিএপি সারের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন না।
গুদামজাতকরণ ঃ শুষ্ক ও ছায়াযুক্ত স্থানে গুদামজাত করুন।
No comments