About Us
বাংলাদেশ তথা এ উপমহাদেশের সফল ও স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড অন্যতম। এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড এর চা, এগ্রো, পাট, ম্যাচ, টেক্সটাইল, ভূ-সম্পত্তি সংক্রান্ত বাণিজ্যে ও শিপিং বিভাগে কর্মরত রয়েছে প্রায় ১০,০০০ দক্ষ জনবল। আজ এ উপমহাদেশে প্রায় ২০০ বছরের গৌরবোজ্জ্বল সময় অতিক্রম করেও প্রতিষ্ঠানটি পণ্য ও সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টায় এখনো অবিচল, অক্লান্ত ও নিবেদিত। উচ্চ মানের পেশাদারিত্বের প্রতি প্রতিশ্রুত, ওঝঙ ৯০০১ সনদ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটি দেশেতো বটেই বিশ্ববাজারেও স্বীয় নাম ও মর্যাদা সম্মানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করেছে। নিরাপদ খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কৃষকদের দোরগোড়ায় উন্নত বীজ ও কৃষি প্রযুক্তি পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ২০০৭ সালে এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড যাত্রা শুরু করে।
দেশের অভিজ্ঞ উদ্ভিদ প্রজননবিদগণের দ্বারা ও বিদেশী বিশেষজ্ঞগণের সাথে যৌথ গবেষণার মাধ্যমে এদেশের কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী, মাটি ও আবহাওয়ার উপযোগী, উচ্চ ফলনশীল, রোগ-বালাই প্রতিরোধী, সারা দেশে চাষযোগ্য উন্নতমানের অধিক লাভজনক ফসলের উচ্চফলনশীল ও হাইব্রিড জাত উদ্ভাবন করেছে। রংপুরে গড়ে উঠেছে কোম্পানির কেন্দ্রীয় গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। কোম্পানির বীজ উৎপাদন বিভাগ মান সম্পন্ন বীজের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে, বীজ উৎপাদন খামারে সার্বিক মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে, চুক্তিবদ্ধ চাষীদের দ্বারা ও অভিজ্ঞ কৃষিবিজ্ঞানীগণের তত্ত্বাবধানে, দেশের রংপুর, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, মেহেরপুর ও যশোর অঞ্চলে প্রত্যাশিত উন্নতমানের বীজ উৎপাদনে নিয়োজিত রয়েছে।
মাননিয়ন্ত্রন বিভাগ বীজ বিশেষজ্ঞগণের দ্বারা বীজের বাহ্যিক ও কৌলিতাত্ত্বিক বিশুদ্ধতা, সজীবতা ও বীজের স্বাস্থ্য পরীক্ষণের মাধ্যমে বাজারে নিশ্চিত ও উচ্চ গুণগতমানের বীজ সরবরাহ করে চলেছে। বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ বিভাগ বীজ পরিস্কারকরণ, শুকানো ও বাছাইজাতকরণের মাধ্যমে উচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন বীজ উপযুক্তভাবে প্যাকেটজাতকরণ, তামপাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত গুদামে গুদামজাত করে থাকে।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ভয়াবহতা ও এর ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা চিন্তা করে ইস্পাহানি এক নতুন চ্যালেঞ্জ হাতে নেয়। ২০০৯ সালে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করে ইস্পাহানি বায়োটেক এর পথচলা শুরু হয়। রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে কৃষকদের পরিবেশবান্ধব জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর অবদান, অর্থনৈতিক সাশ্রয় সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইস্পাহানি বায়োটেক অবিরাম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণ ইনস্টিটিউট -এর কারিগরি সহায়তায় গাজীপুরের কোনাবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত আধুনিক গবেষণাগারে অভিজ্ঞ কীটতত্ত্ববিদগণের তত্ত্ববধানে ফসলের গুরুত্বপূর্ণ পোকামাকড় ও রোগ বালাই এর সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রযুক্তি যেমনঃ- বিভিন্ন ধরনের ফেরমোন, উপকারী পোকাসহ জৈব বালাইনাশক উৎপাদন করা হচ্ছে।
ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড-এর বাজারজাতকৃত বীজ ও জৈব বালাইনাশকের পরিচিতি ও চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একদল উদ্যামি, পরিশ্রমী ও অভিজ্ঞ কৃষিবিদ কর্মী মাঠ পর্যায়ে কৃষক মিটিং, প্রদর্শনী প্লট, মাঠদিবস, কৃষি প্রযুক্তি মেলা ইত্যাদি আয়োজন করে। এছাড়াও কৃষকদের মাঝে ফসলের জৈব ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মকান্ড পরিচালনা করে। সর্বোপরি, ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড এদেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নতির লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
স্বীকৃৃতি ও সম্মাননা