তেজি জিপসাম

তেজি জিপসাম

জিপসাম (ক্যালসিয়াম- ২০% ও সালফার-১৬%)

জিপসাম ঃ  ধান, গম, ভূট্টা, আলু সহ সকল প্রকার তেল জাতীয় ফসল; ডাল জাতীয় ফসল, শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন, শাক-সব্জি, পান, সকল প্রকার ফুল ও ফলে সালফার ও ক্যালসিয়ামের অভাব পুরনের জন্য এবং আশানুরূপ ফলন পেতে মাত্রানুযায়ী তেজি জিপসাম সার ব্যবহার করুন।

উপাদান ঃ
তেজি জিপসাম-এ কমপক্ষে ২০% ক্যালসিয়াম ও ১৬% সালফার বিদ্যমান।

ফসলে ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ ঃ

  •  ক্যালসিয়ামের অভাবে গাছের অগ্রভাগের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।
  • গাছের কান্ড নরম হয়, গাছ দূর্বল ও খাটো হয়।
  • পাতার কিনারা ও শিরা হলুদ বর্ণ ধারণ করে এবং কচি পাতা কুঁকড়ে যায়।
  • ফুল ও ফলের কুঁড়ি অসময়ে ঝরে যায়।
  • বীজ যথাযথভাবে পরিপক্ক হয় না।

ফসলে সালফারের অভাবজনিত লক্ষণ ঃ

  • সালফারের অভাবে গাছের কচি পাতা হলদে-ফ্যাকাশে বিবর্ণ রং ধারন করে এবং ধীরে ধীরে পুরাতন পাতাও হলদে হয়ে যায়।
  • গাছের বৃদ্ধি ও কুশির সংখ্যা কমে যায়।
  • গাছ খাটো হয় ও পাতায় পচন ধরে।
  • ফসল পরিপক্ক হতে দেরী হয় এবং ফলন কমে যায়।
  • শস্যের গুণগত মান লোপ পায়।

ফসলে জিপসামের প্রয়োজনীয়তা ঃ

  • ক্যালসিয়াম ও সালফারের অভাবে ২৫% পর্যন্ত ফলন কম হতে পারে।
  • জিপসাম ফসলের সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • গাছের পাতা সবুজ করে, শিকড় বৃদ্ধি করে ও কুশির সংখ্যা বাড়ায়।
  • ফসলের কোষ গঠনে সহায়তা করে।
  • গাছের নাইট্রোজেন গ্রহণে সহায়তা করে।
  • সঠিক সময়ে ফসল পরিপক্ক হতে সহায়তা করে।
  • তেল জাতীয় ফসলের তেল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • শস্যের গুণগত মান বৃদ্ধি করে।

প্রয়োগ মাত্রা ঃ বিঘা (৩৩ শতাংশ) প্রতি ৫-৭ কেজি তেজি জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জমিতে ক্যালসিয়াম ও সালফারের অভাবের তারতম্য ভেদে প্রয়োগ মাত্রা কম-বেশি হতে পারে।

প্রয়োগ পদ্ধতি ঃ

  • জমি তৈরির শেষ চাষে ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
  • ফসলে ক্যালসিয়াম ও সালফারের অভাব দেখা দিলে মাত্রানুযায়ী ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

সতর্কতা ঃ

  • শিশু ও গৃহপালিত পশু-পাখির নাগালের বাইরে রাখুন।
  • খাদ্য সামগ্রী থেকে দূরে রাখুন। 
  • ব্যবহার করার সময় ধূমপান, পানীয় ও খাদ্য গ্রহণ করবেন না।
  • ব্যবহারের পর হাত, মুখ ও কাপড়-চোপড় ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।

গুদামজাতকরণ ঃ শুষ্ক ও ছায়াযুক্ত স্থানে গুদামজাত করুন।

No comments

Powered by Blogger.