শক্তি এসওপি - পটাশিয়াম সালফেট
সালফেট অব পটাশ বা এসওপি এ কমপক্ষে ৫০% পটাশিয়াম এবং ১৭% সালফার বিদ্যমান
ফসলে পটাশিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ ঃ
- বয়স্ক পাতার আগা ও কিনারা ঝলসে বা পুড়ে যায়।
- গাছের গোড়া ও কান্ড দুর্বল থাকে, প্রায়ই হেলে পড়ে।
- খরা, শৈত্যাঘাত, রোগ ও পোকার আক্রমনে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায়।
- পাতা, ফুল ও ফল ঝরে যায়।
- গাছের বৃদ্ধি কমে যায় ও কুশি কম হয়।
- বীজ ও ফল আকারে ছোট হয় এবং কুঁচকে যায়।
ইস্পাহানি শক্তি এসওপি সারের প্রয়োজনীয়তা ঃ
- পটাশিয়ামের অভাবে ৪০% পর্যন্ত ফলন কম হতে পারে।
- এসওপি সার মাটিতে প্রয়োগের সাথে সাথেই গাছের গ্রহণ উপযোগী হয়।
- এসওপি সার ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- পটাশিয়াম ও সালফার বিভিন্ন জৈব ক্রিয়া নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে বিধায় এসওপি সার ব্যবহারে ফসলের গুনগত মান ও সংরক্ষণ উপযোগিতা বৃদ্ধি পায়।
- এসওপি সার আর্দ্রতা ও চঐ দ্বারা প্রভাবিত হয় না তাই মাটির অম্লত্ব বৃদ্ধি পায় না। এই সার অধিকাংশ কীটনাশক ও সারের সাথে সহজেই মিশ্রনযোগ্য।
- অধিকাংশ উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল যেমন- শাক-সবজি ও ফল-মূল ইত্যাদি ক্লোরিন সংবেদনশীল, কারন ক্লোরিন ফসলের বৃদ্ধি, ফলন ও গুণগত মান কমিয়ে দেয়। এসওপি সার প্রায় ক্লোরাইড শূন্য বিধায় উচ্চমান সম্পন্ন ফসলের (যেমন- আলু, তামাক, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কলা ইত্যাদি) সঠিক ফলন নিশ্চিত করে।
ব্যবহার বিধি ও প্রয়োগকাল ঃ
- জমি তৈরির শেষ চাষে ছিটিয়ে প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
- ফসলে পটাশিয়াম ও সালফারের অভাব দেখা দিলে মাত্রানুযায়ী ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
প্রয়োগ মাত্রা ঃ
ফসলের নাম | পরিমাণ/বিঘা |
ধান, গম, ভূট্টা | ৭-১০ কেজি |
আলু | ১৫-২০ কেজি |
সবজি | ১০-১২ কেজি |
পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ | ১৫-২০ কেজি |
তামাক | ২-১৫ কেজি |
তুলা | ১০-১৫ কেজি |
কলা ও অন্যান্য ফল | ২০০-৩০০ গ্রাম |
সতর্কতা ঃ
- শিশু, পশু-পাখি ও খাদ্য সামগ্রীর নাগালের বাহিরে রাখুন।
- ব্যবহারের আগে প্রয়োগ নির্দেশিকা দেখে নিন।
গুদামজাতকরণ ঃ শুষ্ক ও ছায়াযুক্ত স্থানে গুদামজাত করুন।
No comments