বায়ো-ব্লাস্ট


 

এটি একটি পরিবেশবান্ধব জৈব ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক

পরিচিতিঃ বায়ো-ব্লাস্ট এর প্রতি কেজিতে সক্রিয় উপাদান হিসেবে ২৫ গ্রাম জোংশেংমাইসিন ও ৭৫ গ্রাম অলিগোস্যাকারিনস বিদ্যমান। এটি দুইটি ভিন্ন ভিন্ন জৈব রাসায়নিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি একটি পরিবেশবান্ধব আধুনিক যুগের জৈব ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক। এতে বিদ্যমান জোংশেংমাইসিন এক ধরনের এন্টি-ব্যাকটেরিয়া যা উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন সংশ্লেষণকে বাঁধা সৃষ্টি করে ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং ছত্রাকের অঙ্গজ বৃদ্ধিকারী মাইসেলিয়াম এর বৃদ্ধি বন্ধ করে স্পোরের অঙ্কুরোদগমনে বাঁধা সৃষ্টি করে, ফলে ছত্রাকজনিত রোগ নির্মূল হয়। অপরদিকে, অলিগোস্যাকারিনস একটি প্রতিরোধক ছত্রাকনাশক যা ছত্রাক ঘটিত রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

প্রয়োগক্ষেত্র ও অনুমোদিত মাত্রাঃ
ফসলঃ ধান, টমেটো, মরিচ ও চা
রোগের নামঃ ব্লাস্ট, ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট, ব্যাকটেরিয়াল উইল্ট ও ফিউজারিয়াম উইল্ট, রেড রাস্ট 
১ লিটার পানিতেঃ ১.৫ গ্রাম 
প্রতি হেক্টরেঃ ৭৫০ গ্রাম

সকল ফসলের ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ দমনে অত্যন্ত কার্যকরী।

ব্যবহারবিধিঃ ১.৫ গ্রাম পরিমাণ বায়ো-ব্লাস্ট প্রতি ১ লিটার পানিতে ভালভাবে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করতে হবে। ভাল ফলাফল পাওয়ার জন্য আক্রান্ত গাছের সমস্ত অংশ এবং মাটির গোড়ার দিকের অংশ ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করুন। আক্রান্তের পরিমাণ বেশি হলে ৫-৭ দিন অন্তর ২-৩ বার বিকেল বেলা স্প্রে করতে হবে।

সাবধানতাঃ ব্যবহারের সময় পানাহার ও ধূমপান নিষেধ। প্রখর রোদে ও বাতাসের বিপরীতে খালি গায়ে স্প্রে করবেন না। খালি প্যাকেট নষ্ট করে মাটির নিচে নিরাপদ জায়গায় পুঁতে রাখুন।

সংরক্ষণঃ শুষ্ক ও ঠান্ডা ছায়াযুক্ত স্থানে, আগুন হতে দূরে, শিশুদের নাগালের বাইরে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গুদামজাতকরণঃ শুষ্ক, ছায়াযুক্ত ও নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করুন। খাদ্যদ্রব্য ও পশুখাদ্য হতে দূরে রাখুন।

No comments

Powered by Blogger.